যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আজ অনেকেই অনেক মত প্রকাশ করছেন। তাই আমার দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত থাকার পর, আমি ব্যাক্তিগত কিছু মতামত প্রকাশ করতে চাই।
CCTV বসিয়ে কোনো অপরাধ বন্ধ করা যায়না। কিছু বাছা জায়গা ছাড়া গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে সিসিটিভি বসানো কতটা সম্ভব তা সময় বলবে। IIT খড়্গপুর ক্যাম্পাস যাদবপুরের তুলনায় অনেক বড় হওয়া সত্ত্বেও সেখানে অধিকাংশ স্থানে কোনো পর্যবেক্ষন নেই। সুতরাং আঙ্গুলটা খালি যাদবপুরের দিকে তুললে ভুল হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগে management ঠিক করে কাজ করে না। আমার নিজের বিভাগের ক্ষেত্রে এটা গুরুতর। যাদবপুরের অনেক বিভাগে অধিকাংশ faculty part-time এবং সেখানকার research scholar দের ঠিক করে grooming করা হয়না। বিভাগের এক senior faculty আমাকে বলেছিলো বিভাগ গবেষণার জন্য পুরোপুরি unfit।
যাদবপুরের lobby system নিয়ে অনেকেরই ভিন্ন মত রয়েছে তাই এটা বলা উচিত যে এই lobby system শুধু যাদবপুর না IIT খড়্গপুরের ক্ষেত্রেও আমি দেখতে পেয়েছি। স্নাতকোত্তর শেষ হওয়ার পর যখন আমি industry তে গবেষণা শুরু করি সেখানেও আমাকে সেই অভিজ্ঞত্ত্বার সমুক্ষিন হতে হয়েছে। সুতরাং যাদবপুরের lobby পৃথিবীর অনন্য নয়।
University campus সন্ধ্যার পর নেশার ঠেকে পরিণত হয় এবং এতে কোনো সংশয় নেই যে অধিকাংশ বহিরাগত। যাদবপুর St Xaviers বা প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীদের জন্য পার্ক বা bar নয়। সুতরাং CCTV যদি বসাতেই হয় তাহলে চার নম্বর গেটের বাইরে বসানো হোক।
আশা করি কর্তৃপক্ষ এর দায়ে নেবে এবং এই হত্যার জন্য যারা দায়ী তাদের কঠোর শাস্তির অপেক্ষায় রইলাম।
No comments:
Post a Comment